একজন মানসম্মত লেখকের লেখা পড়তে যতটুকু ভাল লাগে, তা লেখাটা কিন্তু ততটুকুই কঠিন। আর একজন ভাল লেখক হওয়াও চাট্টিখানি ব্যাপার না। অনুপ্রেরণার অভাব, সময়ের অভাব, বিষয়ের অভাব, মানুষের নিন্দা ইত্যাদি একজন লেখকের পেছনে যেন লেগেই থাকে! ঠিক যেমন লেগে থাকত বিখ্যাত লেখক জে কে রাওলিং এর পেছনে। জে কে রাওলিং তাঁর এসব অভিজ্ঞতা থেকে যে সকল উপদেশ নতুন লেখকদের উদ্দেশ্যে দিয়েছেন, সেগুলোরই কয়েকটা আজ তুলে ধরছি।
১। নিজে যা জানো সেই সম্পর্কে লিখো:
নিজের অনুভূতি, বিশ্বাস, বন্ধু-বান্ধব, পরিবার এমনকি পোষা প্রাণীকেও তোমার লেখার উপকরণ বানিয়ে ফেল।“Write what you know: your own interests, feelings, beliefs, friends, family and even pets will be your raw materials when you start writing.”
২। নির্জনতাকে ভালবাসতে চেষ্টা করো:
কারণ লেখালেখি করা বিশ্বের সবচেয়ে একাকীত্বময় কাজগুলোর মাঝে একটা।“Develop a fondness for solitude if you can, because writing is one of the loneliest professions in the world!”
৩। সব গুরুত্ব লেখালেখির পেছনে দাও!
লেখালেখি যদি তোমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়, এবং ভবিষ্যতে তুমি যদি নিজেকে একজন লেখক হিসেবেই দেখতে চাও তবে চিন্তা ভাবনাকে অন্যদিকে না সরিয়ে, নিজেকে অন্য কোন পথে না নিয়ে, তোমার সব শক্তি এই লেখালেখির পেছনেই ব্যয় করো।“I stopped pretending to myself that I was anything other than what I was, and began to direct all my energy into finishing the only work that mattered to me.”
৪। শৃঙ্খলা বজায় রাখো:
আমাদের স্কুলের শিক্ষকরা আমাদের সবসময় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলতেন। এই জিনিসটাই একজন ভাল লেখক হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার।“You’ve got to work. It’s about structure. It’s about discipline. It’s all these deadly things that your school teacher told you you needed… You need it.”
৫। ভাল লেখক হতে হলে আগে ভাল পাঠক হও!
“I always advise children who ask me for tips on being a writer to read as much as they possibly can. Jane Austen gave a young friend the same advice, so I’m in good company there.”“The most important thing is to read as much as you can, like I did. It will give you an understanding of what makes good writing and it will enlarge your vocabulary.”
৬। যখনই সময় পাও, লেখা শুরু করো!
“Sometimes you have to get your writing done in spare moments here and there.”৭। অধ্যবসায়ী হও!
শুধুমাত্র ভাল লেখক হওয়ার জন্যই নয় বরং লেখক হিসেবে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মাঝেও নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্যেও অধ্যবসায়ী হতে শেখো।“Perseverance is absolutely essential, not just to produce all those words, but to survive rejection and criticism.”
৮। ব্যর্থতাকে শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে।
“Failure is inevitable — make it a strength.”“It is impossible to live without failing at something, unless you live so cautiously that you might as well not have lived at all, in which case you have failed by default.”
“Failure means a stripping away of the inessential.”
৯। তোমার লেখাই তোমার পরিচয় বহন করে।
তাই লেখো, যা তুমি লিখতে ভালবাসো এবং নিজের জন্যে লেখো।“What you write becomes who you are… So make sure you love what you write!”
“I just write what I wanted to write. I write what amuses me. It’s totally for myself.”
১০। ভেঙ্গে পড়ো না।
তোমার লেখা কোন পাঠক না পেলেও তা তোমাকে জীবনে অনেক শিক্ষা দিতে পারে । এর মানে এই না যে লেখাটা ভাল হয়নি।“Even if it isn’t the piece of work that finds an audience, it will teach you things you could have learned no other way.”
“And by the way, just because it didn’t find an audience, that doesn’t mean it’s bad work.”
১১। লিখতে থাকো,
কারণ তুমি নিজেও জানো না যে তোমার কোন লেখাটা জনপ্রিয় হয়ে যাবে!“Maybe your third, fourth, fiftieth song/novel/painting will be the one that ‘makes it’, that wins the plaudits… but you’d never have got there without finishing the others (all of which will now be of more interest to your audience.)”
১২। সাফল্য আসবেই!
একবার যখন সফলতা লাভ করবে, তখন তুমি বুঝবে যে, ব্যর্থ হলেও তুমি আবার পারবে। তাই প্রত্যাখাত হওয়ার ভয়ে তোমার ইচ্ছাটাকে ছেড়ে দিও না।“You’ll have turned yourself from somebody who’s ‘thinking of’, who ‘might’, who’s ‘trying’, to someone who DID. And once you’ve done it… you’ll know you can do it again. That is an extraordinarily empowering piece of knowledge. So do not ever quit out of fear of rejection.”
“I would like to be remembered as someone who did the best she could with the talent she had.”
রাওলিং এর এই শেষ উক্তিটিকে কিন্তু তিনি বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন। তাই বসে না থেকেই আজই হাতে খাতা-কলম কিংবা কিবোর্ড তুলে নাও এবং নিজেকে এমন স্থানে নিয়ে যাও যেখানে গেলে পরবর্তী প্রজন্মের লেখকরাও তোমার উপদেশের জন্য মুখিয়ে থাকবে, হ্যাপি রাইটিং!
0 মন্তব্যসমূহ