বাংলা সাহিত্যের সংক্ষিপ্তত ইতিহাস


বাংলা সাহিত্যের সংক্ষিপ্তত ইতিহাস
সাহিত্য শব্দটি সংস্কৃত শব্দ। 'সহিত' থেকে সাহিত্য শব্দটি এসেছে। সাহিত্য শব্দটির অর্থ - সাহিতের ভাব মিলন, যোগ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর মতে, 'একের সহিত অন্যের মিলনের মাধ্যম।' সাহিত্য হাজার হাজার বছর পুরোনো। কিন্তু বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের মধ্যে ইংরেজি সাহিত্য বেশি পুরোনো। সমৃব্ধতার কথা চিন্তা করলে প্রথমে ইংরেজি সাহিত্য। তারপর স্থান করে নেয় চাইনিজ সাহিত্য। বাংলা সাহিত্যের সূচনা বৌদ্ধদের হাত ধরে। বাংলা সাহিত্যের প্রথম গ্রন্থ চর্যাপদ। বাংলা সাহিত্যের সর্বাধিক সমৃদ্ধধারা গীতিকাব্য। গীতিকাব্যের মূলসুর- প্রকৃতি ও নারী।
বাংলা সাহিত্যের প্রচীনতম রূপ হচ্ছে কাব্য এবং প্রাচীনতম সৃষ্টি ছড়া।বাংলা সাহিত্যের তিনটি যুগ। প্রাচীন যুগ(৬৫০-১২০০খ্রী:), মধ্যযুগ(১২০১-১৮০০খ্রী), আধুনিক যুগ(১৮০১- বর্তমান )।
প্রাচীনযুগ এর প্রধান বৈশিষ্ট ব্যক্তিজীবন।এর মধ্যে মধ্যযুগের (১২০১-১৩৫০) কে অন্ধকার যুগ বলা হয়, কারণ এসময় তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ রচিত হয় নি। এ অন্ধকার যুগকে সন্ধিযুগও বলা হয়।( ১৯০১- ১৯৪০) কে রবীন্দ্র যুগ বলা হয়। আর যুগ সন্ধিক্ষণের কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত। মধ্যযুগ এর প্রথম নিদর্শন ধর্মনির্ভরা।
আধুনিক যুগের প্রধান বৈশিষ্ট হচ্ছে মানবাত। বাংলা গদ্যের উদ্ভব ও বিকাশ দুটোই ঊনিশ শতকে। বাংলা গদ্যের প্রবর্তক উলিয়াম কেরি। তাকে পথিকৃত ও বলা হয়। কিন্তু বাংলা গদ্য ও সাধুরীতির জনক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। বাংলা ছন্দের প্রচলন করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।তিনি ছোট গল্পেরও প্রবর্তক। কিন্তু তার গদ্য রচনার সূচনা হয় ইংরেজদের হাত ধরে।বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস - আলালের ঘরে দুলাল(১৮৫৮) টেকচাঁদ ঠাকুর যার আসল নাম প্যারীচাদ মিত্র। তবে তিনি তেমন সার্থকতা পাননি। বাংলা সাহিত্যের সফল উপন্যাস বঙ্কিমচন্দ্র রচিত দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫)। প্র‍থম মহিলা উপন্যাসিক স্বর্ণকুমারী দেবী।বাংলা চলিত ভাষারীতি এসেছে প্রমথ চৌধুরীর হাত ধরে। বাংলায় আধুনিক কবিতার প্রবিক্তা মাইকেল মধুসূদন দত্ত। বাংলা কথ্যভাষার আদিগ্রন্থ 'ফুলমনি ও করুণার বিবরণ '। বাংলা কাব্যে সর্ব প্রথম প্রচুর আরবি ও ফারসি শব্দের ব্যবহাত করেন মোহিলাল মজুমদার৷ কাজী নজরুল ইসলাম ও করেন ব্যবহার কিন্তু তেমন নয়।


Department of Pharmacy
NSTU

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ