গনিত অনেকের কাছেই অন্যতম ভীতির এক নাম। এর সাথে যখন পদার্থবিজ্ঞান যুক্ত হয় তখন সেই ভীতি কয়েকগুন বেড়ে যায়। কিন্তু পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিতের মধ্যে খুবই ভালো একটা সম্পর্ক রয়েছে। কারন উভয় বিষয়ে গানিতিক যুক্তির মাধ্যমে যেকোন সিদ্ধানে পৌছানোর কাজটি করে থাকে। তাই গনিত বা পদার্থবিজ্ঞান এর সমন্বয় আরো বেশি চমকপ্রদ।

গানিতিক পদার্থবিজ্ঞান কি?
পদার্থবিজ্ঞানে অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান আমরা করে থাকি। যেমন ভর বেগ, গতি, শক্তি, বল ইত্যাদি। এই সকল সমস্যার সমাধানে আমরা যখন পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন সূত্রের পাশাপাশি গানিতিক যুক্তি ব্যবহার করি তখন সমস্যা গুলো গানিতিক পদার্থবিজ্ঞানের অন্তর্গত হয়। বিজ্ঞান শাখায় পড়াশোনা করি এমন সকলেই আমরা এই ধরনের সমস্যা গুলোর সাথে পরিচিত। তাই খুব সহজেই কিভাবে গানিতিক পদার্থবিজ্ঞানে ভালো করা যায় সেই বিষয়গুলো নিয়েই এই লিখাটি, তাহলে দেরি না করে চলো শুরু করা যাক…
১. পদার্থবিজ্ঞানের মূল ভিত্তি হল সূত্র আর গানিতিক পদার্থবিজ্ঞানে ভালো করার জন্য সূত্রের কোন বিকল্প নেই। তাই মূল সূত্রগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে। সূত্রগুলো মনে রাখতে হবে কিন্ত না বুঝে মুখস্ত করা যাবে না।
২. গানিতিক পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমীকরন এসে থাকে। কোন সমীকরন খুবই সরল আবার কোন সমীকরন জটিল। তবে সকল সমীকরনের উৎস একটি সাধারন সমীকরন। এই সাধারন সমীকরন সমাধানের কৌশল গুলো আয়ত্তে রাখতে হবে।
গণিতের ভয়কে কর জয়!
৩. কোন রাশির একক ও মাত্রা কি এই ব্যাপারটা জানতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় আমরা গানিতিক সমস্যা গুলো সমাধান করে ফেলি কিন্তু আসলে সেই সমাধান করা রাশির একক ভুল লিখার কারনে পুরো নম্বর পেতে ব্যর্থ হই তাই মনে করে নির্ধারিত রাশির জন্য নির্ধারিত একক লিখতে হবে।
৪. উচ্চতর পদার্থবিজ্ঞানে ডেরিভেশন একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। বেসিক ডেরিভেটিভ গুলো সম্পর্কে যদি পরিষ্কার ধারনা না থাকে তাহলে এই ধরনের সমস্যা সমাধানে কিছুটা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তাই চেষ্টা এই বিষয়ে বেসিক ভালো করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
৫. নতুন অধ্যায় শুরু করার পরে ভালো করে সেই অধ্যায়ের বর্ননামুলক অংশ বা থিওরী অংশটুকু পড়তে হবে। এতে মূল বিষয়গুলো আরো বেশি পরিষ্কার হবে এবং গানিতিক সমস্যা কি ধরনের হতে পারে সেই সম্পর্কে একটা ধারনা পাওয়া যাবে।
৬. যেসকল সমস্যা সমাধানের জন্য চিত্র আঁকা প্রয়োজন সেই সকল সমস্যার ক্ষেত্রে চিত্র আকতে হবে। যেমন ভেক্টর। চিত্র আকলে চিত্র থেকে অনেক তথ্য সহজেই নির্নয় করা যায়। যা চিত্র না একে বের করা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

৭. মূল বইয়ের পাশাপাশি পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন মজার মজার সমস্যা আছে এমন বইয়ের সমস্যা সমাধান করতে হবে। যেমনঃ পদার্থবিজ্ঞানের মজার কথা প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড। এই বই গুলো বেসিক ভালো করার পাশাপাশি পদার্থবিজ্ঞানের বিস্তর জগৎ সম্পর্কে ধারনা দিয়ে থাকে।  

৮. প্রচুর চেষ্টা করতে থাকতে হবে। কোন সমস্যা সমাধান করতে না পারলে পরেরটা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। হাল ছাড়া যাবে না। প্রয়োজনে শিক্ষক বা বন্ধুদের সাহায্য নিতে হবে। সবচেয়ে ভালো একসাথে বসে Group Study করা।
পদার্থবিজ্ঞান বিজ্ঞানের সবচেয়ে সুন্দর শাখাগুলোর মধ্যে একটা। পদার্থবিজ্ঞানে ভালো জ্ঞান থাকলে এবং ভালো করলে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় যেমনঃ (BUET, DU, RUET, KUET) গুলোর প্রথম সারির বিষয় গুলোতে চান্স পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়। তাই পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক বিষয় গুলো সম্পর্কে ধারনা থাকাটা জরুরি।
লিখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।