স্বপন
ছোট্ট অন্ধকার ঘরে থাকি,
কিন্তু ইচ্ছে আছে
ছোট্ট এই মাটির ঘরটাকে আলোকিত করে
থাকব দুই মা-বেটি।
বাপ তো আসেন কত মাস পরপর
এসে ওই ছ-সাত মাসের
দরকারি টাকা দিয়ে যান।
আমার ইশকুলের জন্যও দেন।
ইশকুল আমার খুবই ভালোলাগে,
সেখানে গিয়ে অনেক কিছু শিখি।
আমার বান্ধবীও আছে কত!
সবার সাথে খেলি।
আমার স্বপন আছে অনেক।
কত কত স্বপন!!
ওইযে সেদিনও জন্দিসে মারা গেলেন
প্রেমার বাবা।
টাকার জন্য নাকি,
ঢাকায় যেতে পারেননি তারা।
আহা!
এখানে থেকেই আমি যদি
তাকে সেরে দিতে পারতাম!
আমাদের গ্রামেই আছে সরদারবাড়ি।
কীযে বড় ওইটা!!
বাবুসাব থাকেন সেখানে।
আমি ভাবি একদিন আমাদের
ছোট্ট বাড়িটারে ওরকমই বানাবো।
আবার, আমার ইশকুলে
যাওয়ার সময় পরে বিরাট খাল।
খাল সাঁকো দিয়ে পার হই।
কিন্তু সাঁকোটাযে ভাঙ্গা!!
কেউ ঠিকও করায় না।
সেইদিনতো রুমি পরেই গেছিলো।
একটুর জন্য ধরেফেলেছিলাম কজন।
আমার ইচ্ছা একদিন আমি
সেই ভাঙ্গা সাঁকোরে ঠিক করাবো।
আরও কত স্বপন আছে আমার!
সব স্বপন জয় করবো।
ইশকুলে যাবো,ভালোভাবে পড়ব।
কিন্তু কতদিন যে হয়ে গেল ইশকুলে যাইনি!
কবে যে আমি আবার
ইশকুলে যাবো!!
এখন তো বিছানায় শুয়ে আছি।
হাসপাতালের বিছানায়।
এখান থেকে আমাকে কোথাও যেতে দেয়না
আমার নাকি ক্যানসার হইসে!!
অনেকদিন অসুখ ছিল
গ্রামে থাকতে।
গ্রামের ডাক্তার ঢাকায় আনতে বলেছে।
দুই মাস পরে বাপ নিয়ে আসলো।
এখানের ডাক্তার বলে –
বেশি নাকি দেরী হয়ে গেছে।
কীযেন বলল - " লাস্ট এসটেজ।
0 মন্তব্যসমূহ